ব্রেকিং নিউজ

অবশেষে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে বড় সুখবর

মহামারি করোনা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। সর্বশেষ ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও সেটিও বন্ধ রয়েছে।

করোনা সংক্রমণ কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তে এখন সেই পরীক্ষা আয়োজনের জোর প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই পরীক্ষার ওএমআর শিট ছাপানো কাজ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে তোড়জোর চলছে প্রশ্নপত্র তৈরির কাজও।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্র বলছে, ওএমআর শিট ও প্রশ্নপত্র তৈরি কাজ চলমান থাকলেও চলতি বছরের নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের সম্ভবনা কম। তবে আগামী বছরের শুরুতেই এই আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক লাখ ৯৭ হাজার ৮৬৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু মুজিববর্ষে সব শূন্যপদে নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা ভেস্তে যায়।

গত বছর ৯ অক্টোবর দেশের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকার।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক’ এর শূন্যপদ এবং জাতীয়করণ করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিডিইপি-৪ এর আওতায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য রাজস্ব খাতে সৃষ্ট ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ এর ১৩তম গ্রেডে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে।

পরবর্তিতে করোনা মহামারি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ওই নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়নি। তবে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণার পরপরই স্থগিত থাকা এই নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করে ডিপিই।

ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এসএসসি ও এইচএসসিসহ বড় পাবলিক পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা আয়োজনের জন্য কেন্দ্র নিয়ে সমস্যা হবে। তাই চলতি বছরে এই নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে না।

তবে আগামী বছরের প্রথম দিকেই নিয়োগের পরীক্ষা হতে পারে। এক্ষেত্রে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেই লক্ষ্য নিয়েই ডিপিই কাজ করছে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে ডিপিইর অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ বলেন, আমরা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছি। পরীক্ষার ওএমআর শিট ছাপানো হচ্ছে। প্রশ্নপত্র তৈরির কাজও চলছে।

জানা যায়, ২০২০ সালের আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই নিয়োগ পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন। এরমধ্যে নিয়োগ পান ১৮ হাজার ১৪৭ জন।

এর আগে একই বছর ২০১৪ সালের স্থগিত পরীক্ষাটিও নেয়া হয়। ওই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ২৯ হাজার ৫৫৫ প্রার্থী। এর মধ্যে নিয়োগ পান ৯ হাজার ৭৬৭ জন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের নতুন নিয়োগের ৩২ হাজার পদের বিপরীতে ১৩ লাখের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.